সভা ও সমিতি:
ঋগ্বৈদিক যুগে রাজাকে ‘সভা’ ও ‘সমিতি’ নামক দুটি গণপরিষদ প্রশাসনিক কাজে সাহায্য করত। ‘সভা’ ছিল বয়োজ্যেষ্ঠ ও জ্ঞানী বৃদ্ধদের প্রতিষ্ঠান। এখানে মহিলাদের প্রবেশাধিকার ছিল না। ‘সমিতি’র অধিবেশনে গোষ্ঠীর সকল মানুষই স্বাধীনভাবে যোগ দিতেন। রোমিলা থাপার বলেন, “কোনো-কোনো রাজ্যে রাজা থাকত না, এই দুটি সংগঠন শাসনকার্য পরিচালনা করত। প্রথম দিকে সমিতি রাজার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করত।” ড. এ এস আলতেকার বলেন যে, “প্রথমদিকে সমিতির ক্ষমতা ছিল সীমাহীন এবং তার সিদ্ধান্ত অনুসারে রাজাকে শাসনকার্য পরিচালনা করতে হত। সমিতির বিরোধিতা রাজার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলত।”
পরবর্তী বৈদিক যুগে সভা ও সমিতির অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল। তবে রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সভা ও সমিতির মতো গণপরিষদগুলির গুরুত্ব হ্রাস পায়। রাজ্যসীমা বাড়লে উপজাতি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সমিতি তার আগের ক্ষমতা হারায়। তবে তুলনামূলকভাবে সভার ক্ষমতা বাড়ে। কিন্তু সভা এই যুগে কোনো গণতান্ত্রিক সংস্থা ছিল না। রাজ অমাত্য, উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারীদের নিয়ে গঠিত ছিল এই সভা।