টীকা লেখো: ‘ঋগবেদ’

‘ঋগবেদ’

ইন্দো-ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় ও সাহিত্যিক কীর্তি হল ‘ঋগবেদ’, যা রচিত হয়েছিল 1500-1000 খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে। ঋগ্বেদ দশটি মণ্ডলে বিভক্ত সহস্রাধিক স্তোত্র বা শ্লোকের সংকলন। দ্বিতীয় থেকে সপ্তম মণ্ডল বা পারিবারিক মণ্ডল ঋগ্বেদের প্রাচীনতম অংশ। নবম ও দশম মণ্ডল অনেক পরবর্তীকালের সংযোজন।

ঋগবেদের আবার চারটি ভাগ আছে, তা হল-ব্রাহ্মণ, সংহিতা, আরণ্যক ও উপনিষদ। সংহিতার মন্ত্রগুলি পদ্যে লেখা হয়। ব্রাহ্মণ হল গদ্যে লেখা এবং বেদের ব্যাখ্যা ঋগবেদের ঐতরেয় ও কৌষাতিকী নামক দুটি করে ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ রয়েছে। যাই হোক, ঋগবেদ থেকে শুরু করে আর্যদের সামগ্রিক জীবন এই গ্রন্থে প্রতিফলিত হয়েছে। ইরফান হাবিব-এর ভাষায়, ঋগবেদকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক যুগে প্রবেশ করেছি। ঋগ্বেদ থেকে নৃতত্ত্ব, অর্থনীতি, ভূতত্ত্ব, গণিত, সমরবিদ্যা, অধিবিদ্যা, রাষ্ট্রচিন্তা, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, পশুপালন, পশুচিকিৎসা, আর্যদের গোষ্ঠীদ্বন্দু, হিন্দুদর্শন প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি।

আর্য শব্দের অর্থ কী? অথবা, আর্য বলতে কী বোঝো?

হরপ্পা সভ্যতার পতনের কারণগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো।

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading