বিভক্তি কাকে বলে ?
যে সব বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টি শব্দ বা ধাতুর শেষে সংযুক্ত হয়ে অর্থপ্রকাশ করে ,সেই সব বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টিকে বিভক্তি বলে । যেমন – কে ,রে ,এর ইত্যাদি
শূন্য বিভক্তি বলতে কী বোঝ ?
শূন্য বিভক্তিঃ যে শব্দ বিভক্তি পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দকে পদে পরিণত করে কিন্তু নিজে অপ্রকাশিত অবস্থায় থাকে এবং মূল শব্দটির কোন পরিবর্তন ঘটায় না, তাকে শূন্য বিভক্তি বলে।
শূন্য বিভক্তির উদাহরণঃ
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে ধান পদে সাধারণ দৃষ্টিতে মনে হয় কোনো বিভক্তি চিহ্ন নেই । কিন্তু আছে । যেমন : ধান + অ । এখানে ‘অ’ শূন্য বিভক্তি হিসাবে কাজ করছে ।
তির্যক বিভক্তি কাকে বলে?
তির্যক বিভক্তি হলো এমন বিভক্তি যা সংযোজিত হয় ভাষার অন্যান্য অংশগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে। এটি এমনভাবে ব্যবহার হয় যাতে মূল শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হয় বা সেই শব্দ অন্য কোনও পদে রূপান্তরিত হয়। এটি সাধারণত বাক্যের মধ্যে সম্পর্ক নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
তির্যক বিভক্তির উদাহরণ:
- কথায় (কথা + এ)
- স্কুলে (স্কুল + এ)
- ঘর থেকে (ঘর + থেকে)
এক্ষেত্রে, মূল শব্দগুলির সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়ে নতুন অর্থ তৈরি হয় যা বাক্যের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে।
আরো পড়ুন-
ধ্বনি পরিবর্তনের কারণগুলি উল্লেখ করো। এর প্রধান ধারাগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
টীকা লেখো: সমীভবন, অপিনিহিতি।
উপসর্গযোগে তিনটি শব্দ গঠন করো।
সমাস কাকে বলে ? সমাস কয় প্রকার ও কী কী ? সমাসের যে-কোনো দুটি প্রকারভেদের বিস্তৃত আলোচনা করো।
প্রত্যয় কাকে বলে ? বাংলা প্রত্যয় বিষয়ে বিশদে আলোচনা করো।
বর্ণ বিপর্যয় বা ধ্বনি বিপর্যয় কাকে বলে ? বিপর্যাস বা বর্ণ বিপর্যয় বা ধ্বনি বিপর্যয় কাকে বলে
উদাহরণসহ সংজ্ঞা দাও- স্বরসংগতি, সংকর শব্দ, জোড়কলম, বর্ণ বিপর্যয়।
ধ্বনি পরিবর্তনের কারণগুলি উল্লেখ করে এর প্রধান ধারাগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে ? দৃষ্টান্তসহ আলোচনা করো।
বিভক্তি কাকে বলে ? শূন্য বিভক্তি বলতে কী বোঝ ? তির্যক বিভক্তি কাকে বলে